#এন্টিভাইরাস_পিসি_কে_স্লো_করে_দেয়ার_কারণ.........
কম্পিউটার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আগামী দিনগুলোতে কম্পিউটার ছাড়া আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনে চলা কঠিন হয়ে পড়বে। আর কম্পিউটারের প্রধান ব্যবহার হিসেবে ইন্টারনেট সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার পথে রয়েছে।
বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যবহারকারির সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে ইন্টারনেটে নিরাপত্তার বিষয়টিও সামনে চলে এসেছে। যা সাইবার নিরাপত্তা হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিত। আমাদের দেশে বেশীরভাগ কম্পিউটার ব্যবহারকারী সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন নন। সারাবিশ্বে যেখানে প্রতিনিয়ত সাইবার হামলা নিয়ে মানুষ চিন্তিত ,আমাদের দেশে ঠিক তার বিপরীত চিত্র দেখা যায়। অনেকে টাকা দিয়ে এন্টিভাইরাস কিনতে অনিচ্ছুক। খুব বেশি প্রয়োজন হলে ফ্রি তে এন্টিভাইরাস ডাউনলোড করে ব্যবহার করেন এমন লোকের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। কিন্তু এর মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী কি কি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, সে বিষয়ে তার কোন ধারনাই নেই......
বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যবহারকারির সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে ইন্টারনেটে নিরাপত্তার বিষয়টিও সামনে চলে এসেছে। যা সাইবার নিরাপত্তা হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিত। আমাদের দেশে বেশীরভাগ কম্পিউটার ব্যবহারকারী সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন নন। সারাবিশ্বে যেখানে প্রতিনিয়ত সাইবার হামলা নিয়ে মানুষ চিন্তিত ,আমাদের দেশে ঠিক তার বিপরীত চিত্র দেখা যায়। অনেকে টাকা দিয়ে এন্টিভাইরাস কিনতে অনিচ্ছুক। খুব বেশি প্রয়োজন হলে ফ্রি তে এন্টিভাইরাস ডাউনলোড করে ব্যবহার করেন এমন লোকের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। কিন্তু এর মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী কি কি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, সে বিষয়ে তার কোন ধারনাই নেই......
মূল কথায় আসা যাক, আমাদের উপমহাদেশে এন্টিভাইরাস ব্যবহারকারীদের প্রধান অভিযোগ এন্টিভাইরাস ব্যবহারের ফলে তার কম্পিউটার ধীর গতিতে কাজ করে।
আমাদের উপমহাদেশে বেশীরভাগ মানুষই পাইরেটেড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন। কারণ হিসেবে অত্যধিক বাজারমূল্যকে চিন্হিত করা যায়। বেশীরভাগ অপারেটিং সিস্টেম প্রস্তুতকারক কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক; যা ব্যবসায়িক উদ্দ্যেশে বিক্রয় করা হয় এবং ধরে নেয়া হয় ব্যবহারকারী উক্ত অপারেটিং সিস্টেম কিনতে সক্ষম। আমাদের উপমহাদেশ এবং আফ্রিকা অঞ্চলের সহ আরো গুটিকয়েক দেশ ছাড়া সারা বিশ্বে লাইসেন্সড অপারেটিং সিস্টেম বিক্রি ক্রয় করা হয়।
এন্টিভাইরাস শুধুমাত্র একটি সফটওয়্যার যা কম্পিউটার এর অপারেটিং সিস্টেম এর সাথে সাথে কাজ করে। যেহেতু বেশীরভাগ ক্রেতা লাইসেন্সড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার এ অভ্যস্ত ,তাদের কথা মাথায় রেখেই লাইসেন্সড অপারেটিং সিস্টেমের জন্য লাইসেন্সড এন্টিভাইরাস তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের উপমহাদেশে লাইসেন্সড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয় না। তাই গুটিকয়েক (সারাবিশ্বের ব্যবহারকারীর তুলনায়) ব্যবহারকারীর জন্য এন্টিভাইরাস ব্যবহার একটি সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভাইরাস মূলত একটি প্রোগ্রাম। এন্টিভাইরাস আপনার অপারেটিং সিস্টেম এর সাথে যুক্ত হয়ে ভাইরাস খোজার চেষ্টা করে এবং এগুলোকে চিন্হিত করে রিমুভ করে।আপনি যদি নামকরা এন্টিভাইরাস কোম্পানিগুলোর দিকে তাকান (এভাস্ট, এভিজি, ক্যাস্পারস্কি, পান্ডা...) তাহলে দেখতে পারবেন; এরা বহুজাতিক কোম্পানি। একটি বহুজাতিক কোম্পানি অবশ্যই চাইবে তার পণ্য অধিক ব্যবহারকারীর জন্য প্রস্তুত করতে। যেহেতু সারাবিশ্বের অধিক সংখ্যক ব্যবহারকারী লাইসেন্সড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে, তাই পণ্যগুলি তাদের কথা মাথায় রেখেই প্রস্তুত করা হয়।
কোম্পানিগুলোর প্রস্তুতকৃত এন্টিভাইরাস শুধুমাত্র লাইসেন্সড অপারেটিং সিস্টেমের সাথে যথাযথ ভাবে কাজ করতে সক্ষম। বহিরবিশ্বে সাধারনত এন্টিভাইরাস সম্পর্কে এ ধরনের অভিযোগ কম শোনা যায়।
এন্টিভাইরাস এর কাজে বাধ সাধে তখনই যখন আপনার অপারেটিং সিস্টেমটি লাইসেন্সড নয়। ফলে এন্টিভাইরাস যথাযথ ভাবে কাজ করতে পারে না।
তাই আপনার পিসি স্লো হয়ে যায়।